
টিল মানসিক রোগ স্কিকৎজোফ্রেনিয়া। যা অনেকের কাছে সিজোফ্রেনিয়া নামে পরিচিত। একা একা কথা বলা, চুপচাপ থাকা, কারো কথার জবাব না দেয়া, কিছু জিজ্ঞাসা করলে উত্তর না দেয়া, কানে অলিক কথা শোনা, অসংলগ্ন কথা বলা, প্রতিদিনের কাজ সঠিকভাবে না করা, ভ্রান্ত বিশ্বাস, অহেতুক সন্দেহপ্রবণতা, অবাস্তব চিন্তাভাবনা, অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। এছাড়াও এটির লক্ষণের মধ্যে রয়েছে- অনাগ্রহ, চিন্তার অক্ষমতা, আবেগহীনতা ও বিচ্ছিন্নতা।
আজ ২৪ মে ‘বিশ্ব সিজোফ্রেনিয়া দিবস’। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ‘আশার সাথে সংযোগ’ প্রতিপাদ্যে এবারের দিবসটি পালিত হয়েছে। এ দিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের উদ্যোগে আলোচনা সভা, র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
তথ্য বলছে, বর্তমানে বিশ্বে সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছে অন্তত দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষ। বাংলাদেশে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, দেশে সিজোফ্রেনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে দিনদিন। দেশের প্রায় শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। সে হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ। তবে সুখবর হলো- সঠিক চিকিৎসা পেলে ৫০ শতাংশ রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র বলছে, এ হাসপাতালের মানসিক রোগ বিভাগের বহির্বিভাগ থেকে গত এক বছরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। এর মধ্যে মানসিক সমস্যা নিয়ে আসা এসব রোগীর প্রায় ৪০ শতাংশই সিজোফ্রেনিয়ার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
চিকিৎসকরা বলছেন, জটিল এ মানসিক রোগের চিকিৎসাও বেশ জটিল। নারী-পুরুষ উভয়েরই এ রোগ হলেও পুরুষের আক্রান্তের হার দেখা যায় বেশি। দেশে প্রতি একশ’ জনের মধ্যে একজন এ রোগে আক্রান্ত হন। প্রথম দিকে আক্রান্ত ব্যক্তিও বুঝতে পারেন না যে তিনি সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছেন। রোগটি নিয়ে মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণাও রয়েছে। বয়সের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ২০ বছরের শুরুর দিকে বেশি আক্রান্ত হয় মানুষ। ৪৫-এর পর এটি কমে যায়। ৫০ বছরের পর আর হয় না। ফলে এ সময়ের পর নতুন করে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুবই কম।
চমেক হাসপাতালের মনোরোগ বিভাগের চিকিৎসক বিজন কুমার দত্ত বলেন, সিজোফ্রেনিয়া একটি জটিল মানসিক রোগ। শতকরা একজন মানুষের মধ্যে এটির লক্ষণ রয়েছে। রোগটি সাধারণত মানুষের ১৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে কারো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
সূত্রঃDailyBangladesh
Leave a Reply